
স্টাফ রির্পোটার ঃ কথিত ধাত্রীর ভূল সিদ্ধান্তে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। কথিত ধাত্রী ভোমরা ইউনিয়নের ৪,৫,৬ সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বর মোছা: আম্বিয়া খাতুন । সোমবার সকালে সদরের ভোমরা গ্রামে নবজাতকের নানা জাহাঙ্গীরে বাড়ীতে এই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নবজাতকের মা জেসমিন ও বাবা সাতক্ষীরা সদর মাহমুদ পুর গ্রামের মো: সেলিম।
জানা যায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় জেসমিনের সমান্য প্রসব বেদনা শুরু হয়। ওই সময় জাহাঙ্গীর কথিত ধাত্রী মোছাঃ আম্বিয়া খাতুনের ফোন দিয়ে ডাকে। মহিলা মেম্বর আম্বিয়া খাতুন জেসমিনকে দেখে বলে কোন ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে না।বাচ্চা লাইনে আছে। নরমালে ডেলিভারি করার কঠিন সিদ্ধান্তটি নিজে দয়িত্বে বুঝে নেয় । কাজ সম্পন্ন হলে তাকে খুশি করার কথাও বলে। সন্ধ্যা থেকে রাত ৪ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। যখন কোন ফলাফল না আসে তখন স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল হামিদকে ডাকে। ডাক্তার প্রসূতি দুর্বল থাকায়একটি গ্লুকোজ স্যালাইন দেন। পরে কথিত ধাত্রীর পরামর্শে প্রসূতির শরীরে ব্যাথা প্রবলকারী ইনজেকশন পুশ করা হয়।
ডাক্তার আব্দুল হামিদ জানান, সকাল ৯ টা ৩৩ মিনিটে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। পরে সকাল ৯ টা ৫৪ মিনিটে দুর্বলতার কারণে শিশুটি মারা যায়। তবে ওই ধাত্রীর এমন রোগীর ঝুকির দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ হয়নি ।
জেসমিনের বাবা জাহাঙ্গীর জানান,ভোরে আমি বার বার ধাত্রীকে জিজ্ঞেস করেছি না পারলে বলেন আমরা সাতক্ষীরায় নিয়ে যাবো। কথিত ধাত্রী মহিলা মেম্বর মোছা: আম্বিয়া খাতুন জানায় বাচ্চা লাইনে আছে।সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া লাগবে না। আমি পারবান।একটু পরে বাচ্চা হয়ে যাব্যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধাত্রী মহিলা মেম্বর মোছা: আম্বিয়া খাতুন জানায়, ‘এ রকম কাজ আমি প্রায় করি। আর আল্লাহর মাল আল্লাহ উঠাই নেছে আমি কি করব। এর জন্নি আপনার কিছু করা লাগবে না। ওদের সাথে আমি বিষয়টা সমাধাণ করে নিবান’।
ধাত্রী মহিলা মেম্বর মোছা: আম্বিয়া খাতুন তার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সেচ্ছায় প্রসূতির বাড়ীতে পৌঁছে যায়। নিজে দায়িত্বে ধাত্রীর কাজটি বুঝে নেয়।এলাকাবাসী জানায়, মহিলা মেম্বর পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এসব কৌশল প্রয়োগ করে।
মহিলা মেম্বর মোছা: আম্বিয়া খাতুন এর ধাত্রী বিদ্যার উপর কোন প্রশিক্ষণ নাই।সে সরকারী ধাত্রী বলে পরিচয় দেয়।তবে,তার একটা জাল প্রশিক্ষণ সনদ রয়েছে।এটাকে পূঁজি করে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এমন ঝুকির কাজ সে করেই চলেছে।গত ১৮/০২/২০২০ তারিখে তারই ভূল সিদ্ধান্তে ভামরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীদাঁড়ী গ্রামের আব্দুল হমিদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী প্রসূতি মোছাঃ নারগিস খাতুন (৩২) মৃত্যু হয়।তার বিরুদ্ধে অবৈধ গর্ভপাত,নবজাতক ও প্রসূতি মৃত্যুর অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তবে,সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নাকের ডগায় মা ও শিশুর এমন ঝুকির কাজটি করলেও তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নবযাতক ও গর্ভবতীর ওই ধরণের মৃত্য থেকে রেহায় পেতে কথিত ধাত্রী মেম্বরের শাস্তির আওতায় আনার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।